ডাটাবেস ডিজাইন
“ডাটাবেস ডিজাইন” হচ্ছে এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে একটি ডাটাবেসের ডাটার ধরন, ডাটার মধ্যবর্তী সম্পর্ক ইত্যাদি দিয়ে ডাটার মডেল প্রস্তুত করা হয়। এই ডাটার মডেল সাধারণত “ডাটা ডেফিনেশন ল্যাঙ্গুয়েজ (DDL)” এ কোড জেনারেট করে, যা দিয়ে পরবর্তীতে ডাটাবেস তৈরি করা হয়।
“ডাটাবেস ডিজাইন” সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়ে থাকে। নিচে ধাপসমূহ উল্লেখ করা হল।
ডাটাবেসে কোন ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করা হবে তা নির্ধারণ করা।
কোন ডাটার সাথে কোন ডাটার সম্পর্ক / রিলেশন থাকবে তা নির্ধারণ করা।
যেসব রিলেশন লেখা হয়েছে তা যুক্তিযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করা।
নেমিং কনভেনশন
প্রাইমারি কি হিসাবে
id
সবসময় ব্যবহার না করা। কারণ জয়েন কুয়েরিতে সকল টেবিলে যদিid
থাকে তবে এই সকলid
এর জন্য এলিয়াস(alias) লিখতে হবে।টেবিলের নাম / কলামের নামে রিজার্ভড কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে টেবিলের নামে প্রিফিক্স ব্যবহার করা। প্রিফিক্স এর উদাহরনঃ mydb_tableName।
হাইফেন (-), কোট (‘) , স্পেস এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
টেবিলের / কলামের নাম সিঙ্গুলার দেওয়া উত্তম , যদিও প্লুরাল দেখতে অথবা শুনতে যুক্তিযুক্ত মনে হতে পারে। তবে প্লুরাল ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি নেই।
ডাটা সংরক্ষণের ধরন নির্ধারণ করা
এই ধাপে সাধারণত লক্ষ রাখা হয় যে কাজের জন্য ডাটাবেস ডিজাইন করা হচ্ছে সেখানে কি ধরনের ডাটা সংরক্ষণ প্রয়োজন। এখানে “চাহিদা বিশ্লেষণ” করা হয়ে থাকে। এই কাজের জন্য এপ্লিকেশন এর গঠন , ডাটা ম্যানিপুলেশন, স্কেল এভিলিটি , সিস্টেম স্পেসিফিকেশন ইত্যাদি ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জ্ঞান দরকার। আপনাকে জানতে হবে কোন কোন ডাটা আপনি সার্চ করবেন , কোন কোন ডাটা সর্ট করতে হবে, কিভাবে ডাটা রাখলে সবচাইতে কম কুয়েরি করে প্রয়োজনীয় ডাটা দেখানো যাবে, কোন ফরম্যাটে ডাটা রাখলে ডাটার সাইজ কম হবে এবং ম্যানিপুলেশন সহজ হবে।
উদাহরনঃ মনে করুন যে এপ্লিকেশন এর জন্য ডাটাবেস ডিজাইন করতে হবে সেটা একটা ব্লগ। প্রথমেই চিন্তা করুন আপনার ব্লগে কি কি ডাটা থাকতে পারে, কি কি টেবিল লাগতে পারে। সাধারণত ব্লগে USER একাউন্ট থাকে , পোস্ট থাকে , কমেন্ট থাকে। প্রথমে যদি আমরা User Table নিয়ে কাজ করতে যাই তাহলে আমাদের যা যা লাগবেঃ
id
/user_id
যা প্রাইমারি কি , অটো ইনক্রিমেন্ট এর ডাটা টাইপ আনসাইন্ড ইন্টিজার। কারণid
কখনো ঋণাত্মক হবে না।username
এর ডাটা টাইপVARCHAR
এবং সাইজ ২০ এবং এটি ইউনিক। কারণ আমরা একইusername
বার বার দেখতে চাইনা।password
এর ডাটা টাইপVARCHAR
এবং সাইজ ৩২। কারণ আমরা পাসওয়ার্ড এর হ্যাশ সংরক্ষণ করবো , আমাদের হ্যাশ হবেMD5
যার সাইজ হচ্ছে ৩২ ক্যারেক্টার।
ডাটার মধ্যবর্তী সম্পর্ক নির্ধারণ করা
প্রাথমিক ডাটাবেস ডিজাইন শেষ হলে রিলেশন নির্ধারণ শুরু করতে হয়। কোন ডাটা আপডেট করলে কোন ডাটাতে ইনক্রিমেন্ট হবে, কোন ডাটা ডিলিট করলে কোন কোন ডাটা অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যাবে এই সব ঠিক করে দিতে হবে। কোন টেবিলের কোন কলাম অন্য টেবিলের কোন কলামের সাথে সম্পর্কযুক্ত তা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
উদাহরণ: abc_post
টেবিলের user_id
abc_user
টেবিলের user_id
এর সাথে সম্পর্কিত। একই ভাবে abc_comment
টেবিলের user_id
abc_user
টেবিলের user_id
এর সাথে সম্পর্কিত এবং abc_comment
টেবিলের post_id
abc_post
এর post_id
এর সাথে সম্পর্কিত।
ভিজুয়ালই স্কিমা ডিজাইন করতে এই সাইট ব্যবহার করতে পারেন।
Last updated